পাকিস্তান তাদের বন্দী সেনাদের মুক্তি নিশ্চিত করার ‘চাপের উপায়’ হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাসরত বাঙালি নাগরিকদের আটক শুরু করে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ‘বাঙালি’ নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করতে ‘নিষ্ঠা যাচাই’প্রক্রিয়া চালু করে।

বহু বাঙালি বেসামরিক কর্মকর্তা, পেশাজীবী ও সেনাসদস্য চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। তাঁদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়, এমনকি জনসমক্ষে ‘অবিশ্বস্ত’ হিসেবে কলঙ্কিত করা হয়। হাজার হাজার বাঙালি সামরিক কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, চিকিৎসককে অধিকারহীন করে ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্পে আটকে ফেলা হয়। তাঁরা কোনো যুদ্ধবন্দী ছিলেন না; তাঁরা ছিলেন পাকিস্তানের নাগরিক, যাঁদের রাতারাতি ‘বিশ্বাসঘাতক’ ঘোষণা করা হয়।

উর্দু সংবাদপত্রগুলো এই উত্তেজনাকে আরও উসকে দেয়। তারা বাঙালি নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ভারতের দালাল’ হিসেবে চিত্রিত করে। ১৯৭১ সালের ১২ জুলাই নওয়ায়-ওয়াক্ত সম্পাদক মুজিবকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দেন—যিনি নাকি ভারতকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান ভাগ করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বিভিন্ন পত্রিকায় মুজিবকে ‘শৃঙ্খল বাঁধা সিংহ’, ‘ভারতের এজেন্ট’, ‘ইন্দিরা গান্ধীর দালাল’ এবং পাকিস্তানের ‘শত্রু’ হিসেবে ব্যঙ্গচিত্রে তুলে ধরা হয়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews