কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত আজ পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। কম্বোডিয়া থাই সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লাগাতার গোলাবর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল নিশ্চিত করেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।
কম্বোডিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য খেমার টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরের প্রথম দিকে থাই বাহিনী কম্বোডিয়ার তিনটি প্রদেশে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। পত্রিকাটি আরো জানায়, কম্বোডিয়ার ওদ্দার মিনচে প্রদেশে তা মোয়ান, তা ক্রা বেই এবং থমার দাউন এলাকায় থাই সেনারা গুলি চালায়। এছাড়াও, দেশটির প্রেই ভিহিয়ার প্রদেশের ফনম খাইং ও আন সেস এলাকা এবং বানতেয় মিনচে প্রদেশের প্রেই চান গ্রাম ও বুয়েং ত্রাকুয়ান এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে থাই বাহিনী। তবে এই নতুন সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার সংঘাত পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দেশের অন্তত ২০ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। গত অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় একটি শান্তিচুক্তি ভঙ্গ হওয়ার পর থেকে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তের উভয় পাশে প্রায় ৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এদিকে, কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থাই সামরিক বাহিনীর সেই দাবিকে ভুয়া খবর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। যেখানে বলা হয়েছিল যে কম্বোডিয়া তাদের হামলায় বিদেশি ভাড়াটে সৈন্য ব্যবহার করছে। মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় সেনা অঞ্চলের ফেসবুক পেজে প্রচারিত সেই অপপ্রচারকে প্রত্যাখ্যান করছে, যেখানে কম্বোডিয়াকে থাই-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘাতে এফপিভি (ফার্স্ট পার্সন ভিউ) ড্রোন উৎক্ষেপণে বিদেশিদের সহায়তা নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্প ও অনুতিনের পরিকল্পিত ফোনালাপের আগে থাইল্যান্ডের শীর্ষ কূটনীতিক সিহাসাক ফুয়াংকেটকেও মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেছেন। সিহাসাক রুবিওকে জানিয়েছেন যে থাইল্যান্ড শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে সত্যিকারের অঙ্গীকার প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী অনুতিন বৃহস্পতিবার তার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। এর ফলে ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। তবে অনুতিন নিশ্চিত করেছেন, এই সিদ্ধান্তের কারণে চলমান সীমান্ত সংঘাতের ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল