শীত মানেই ত্বকের শুষ্কতা, খসখসে ভাব আর টান টান অনুভূতি। কিন্তু এই সমস্যাগুলো শুরু হয় অনেক সময় শীত পুরোপুরি নামার আগেই। তাই আগেভাগে ত্বককে প্রস্তুত রাখলে শীতকালেও ত্বক থাকবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
শীতের আগেই ত্বকে আর্দ্রতা কমে যেতে শুরু করে। তাই প্রতিদিন গোসলের পর হালকা ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের পানির পরিমাণ দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখা যায়। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিডযুক্ত ক্রিম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বেশি কার্যকর।
অনেকে ভাবেন গরম পানিতে গোসল করলে ঠান্ডা লাগবে না, কিন্তু এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন এবং গোসলের সময় যতটা সম্ভব কমান।

গ্রীষ্মকালে ব্যবহৃত ত্বকের তেল পরিষ্কার করার ফেসওয়াশ বা সাবান এখনই বদলে ফেলুন। শীতের আগে মৃদু, ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার ব্যবহার শুরু করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়বে না।

ত্বকের উজ্জ্বলতা আসে ভেতর থেকেও। শীতের আগে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার, যেমন - মাছ, বাদাম, ও তিল, খাওয়া শুরু করুন। পর্যাপ্ত পানি পানও অত্যন্ত জরুরি।

রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার বা ফেস অয়েল ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করে এবং সকালে ত্বককে করে তোলে কোমল।

শীতের নরম রোদে আরাম লাগলেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই আগেভাগে সানস্ক্রিন ব্যবহার শুরু করুন, বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে গেলে।
শীত আসার আগে এই সহজ পরিবর্তনগুলো রুটিনে আনলে আপনার ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যকর, নরম ও দীপ্তিময় পুরো মৌসুম জুড়ে।
সূত্র: হেলথলাইন, আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি, মেডিকেল নিউজ টুডে
এএমপি/এমএস