মালয়েশিয়া গাজায় জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে প্রস্তুত— এমনকি ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও অন্যান্য সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করতেও আগ্রহী বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম।
প্রধানমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা করেছেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় রোববার (২৬ অক্টোবর) কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলন ও সংশ্লিষ্ট বৈঠকের ফাঁকে।
আনোয়ার বলেন, বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল মালয়েশিয়া ও জাতিসংঘের সহযোগিতা আরও গভীর করা— বিশেষ করে আসিয়ান–জাতিসংঘ কাঠামোর আওতায়। তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়া জাতিসংঘের সংস্কার এজেন্ডা, বিশেষত ‘প্যাক্ট ফর দ্য ফিউচার’ এবং ‘ইউএন৮০ ইনিশিয়েটিভ’-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মালয়েশিয়া আসিয়ান কমিউনিটি ভিশন ২০৪৫ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) ২০৩০ এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ লক্ষ্যে দেশটি ‘কমপ্লিমেন্টারিটিজ ইনিশিয়েটিভ ২.০’ বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
প্রায় ২০ মিনিটের এই বৈঠকে উভয় নেতা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে আসিয়ান চেয়ার হিসেবে মালয়েশিয়ার ভূমিকা এবং মিয়ানমারে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মসূচি নিয়েও মতবিনিময় হয়। এর মধ্যে ছিল ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য ৩০তম ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ’ (সিওপি৩০)-এর আগে মালয়েশিয়ার ‘ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (এনডিসি) ৩.০’ দাখিলের পরিকল্পনা।
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি, ন্যায়বিচার ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মালয়েশিয়া জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোববার সকালে কুয়ালালামপুরে পৌঁছান ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলন ও সংশ্লিষ্ট বৈঠকে অংশ নিতে। এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন,’ যা মালয়েশিয়ার আসিয়ান চেয়ারম্যানশিপ ২০২৫-এর অধীনে অনুষ্ঠিত।