উত্তর গাজা উপত্যকায় সোমবার এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পাঁচ সেনা সদস্য নিহত এবং আরো ১০ জন আহত হয়েছে। এই প্রাণঘাতী ঘটনার ফলে চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর মোট নিহত সদস্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০৭ জনে।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত পাঁচ সেনা সদস্য নাহাল ব্রিগেডের রিকনাইস্যান্স ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাআলোত-তারশিহার থেকে ২৩ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন ইয়ার ইয়াকভ শুশান, কাফার তাভোরের ২০ বছর বয়সী স্টাফ সার্জেন্ট ইয়াহাভ হাদার, গেদেরার ২০ বছর বয়সী স্টাফ সার্জেন্ট গাই কারমিয়েল, হার্জলিয়া থেকে ১৯ বছর বয়সী ইয়াভ ফেফার এবং পোরিয়া থেকে ২০ বছর বয়সী স্টাফ সার্জেন্ট অ্যাভিয়েল ওয়াইজম্যান।
সোমবার সন্ধ্যায় আইডিএফ জানিয়েছে, নিহত সেনাদের পরিবারকে ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, সোমবার সকালে নাহাল ব্রিগেডের ওই রিকনাইস্যান্স ইউনিট বেইত হানুন এলাকায় একটি অভিযানে অংশ নিতে একটি ভবনে প্রবেশ করে। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যকলাপের অংশ হিসেবে বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রস্তুতিকালে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের কারণে ওই ভবনটি ধসে পড়ে এবং পাঁচ সেনা নিহত হন।
বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
উল্লেখ্য যে গত কয়েক মাস ধরে গাজার উত্তরে তীব্র যুদ্ধ চলছে। সেখানে আইডিএফ অক্টোবর থেকে নতুন আক্রমণ শুরু করে, যার উদ্দেশ্য ছিল হামাসের যোদ্ধাদের পুনরায় সংগঠিত হওয়া রোধ করা।
অন্যদিকে, এই ঘটনার খবর ও গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রাণহানির ঘটনার মধ্যেই কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলমান রয়েছে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসান ও গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্য চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছানোর খবর পাওয়া গেছে।
এই বিস্ফোরণ গাজা উপত্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে আরো সঙ্কটজনক করে তুলল।
সূত্র : টাইমস অফ ইসরাইল