বাঁধাকপির বাইরের দিকের পাতার মতো অংশগুলো ফেলে দিন। কপির মূল অংশের কোনো পরত থেঁতলে গেলেও তা ফেলে দিন।
বাঁধাকপিটি দুই টুকরা করে নিন, যাতে ভালোভাবে তা পরিষ্কার করতে পারেন। তবে ছোট আকারের বাঁধাকপি হলে কাটার প্রয়োজন নেই।
কলের পানিতে টুকরাগুলো ধুয়ে নিন। ধোয়ার সময়ই আঙুলের সাহায্যে ঘষে নিন। যাতে এসবে কোনো ময়লা লেগে না থাকে। পরতের ভেতরের অংশও আলতোভাবে পরিষ্কার করুন, যতটা পারা যায়।
ধোয়ার পরও বাঁধাকপিতে কিছু রাসায়নিক থেকে যেতে পারে। থাকতে পারে আঁশটে গন্ধ। কোনো বাঁধাকপিতে থাকতে পারে ছত্রাক, যা আপনি খালি চোখে দেখতে পাবেন না। কলের পানিতে ধুয়ে নেওয়ার পর এসব সমস্যা সমাধানে নিচের যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তবে যে পদ্ধতিই বেছে নিন না কেন, খেয়াল রাখবেন, বেশি সময় পানিতে রেখে দিলে এর পুষ্টিগুণ হারিয়ে যাবে।
একটা বাটিতে এমনভাবে পানি নিন, যাতে বাঁধাকপি ডুবিয়ে রাখা যায়। তাতে একটেবিল চামচ লবণ কিংবা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তাতে বাঁধাকপিটি ১০–১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। বেকিং সোডা আঁশটে গন্ধ ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে দারুণ কর্যকর।
ভিনেগার–পানিতেও ১০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখতে পারেন বাঁধাকপি। ভিনেগার–পানি তৈরি করতে আড়াই–তিন লিটার পানিতে এক কাপ ভিনেগার মেশাতে হবে। পানি কম হলে ওই অনুপাতে ভিনেগারের পরিমাণ কমিয়ে নিন। যতটা ভিনেগার নেবেন, তার তিন গুণ পানি নিতে হবে, অর্থাৎ এক কাপ ভিনেগার নিলে তিন কাপ পানি নিতে হবে।
বাঁধাকপিটি ফুটন্ত পানিতে এক–দুই মিনিটের জন্য রাখতে পারেন। এরপর অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই তা আবার কলের পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।