ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজটে নাকাল ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। ‘পিঁপড়ার গতিতে’ চলছে যানবাহন। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এমন যানজট দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকার পর ধীরগতিতে মাঝেমধ্যেই চলছে। তীব্র যানজটের কারণে অনেক যাত্রী যানবাহন থেকে নেমে গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
গাজীপুর থেকে আসা ময়মনসিংহে তারাকান্দার গার্মেন্টসকর্মী শিউলি আক্তার জানান, শুক্রবার ফজরের নামাজের পরপরই গাজীপুরের চৌরাস্তার মোড় থেকে শেরপুরের বাসে উঠেছেন তারাকান্দা গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়ার জন্য। ময়মনসিংহ বাইপাস মোড় আসতেই সময় লেগেছে সাত ঘণ্টা। তীব্র যানজটে এখনও সড়কে বাসে অবস্থান করছেন তিনি। তারাকান্দায় বাড়ি যেতে আরও কয় সময় লাগবে ধারণা করতে পারছেন না শিউলি।
তিনি আরও জানান, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে প্রতিবারই তিনি স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে আসেন। যানজটের কারণে সড়কে কষ্ট হলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দটাই অন্যরকম জানান শিউলি।
ঢাকা থেকে ঈদ করতে আসা ফুলপুরের যাত্রী কামাল উদ্দিন জানান, ময়মনসিংহে ফুলপুরে গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য সকাল ছয়টার সময় মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাসে উঠেছেন। বাস ছাড়া পর থেকেই সড়কে যানজটের কবলে পড়ে। বিশেষ করে প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে তীব্র যানজট। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পাটগোদাম ব্রিজ মোড় পর্যন্ত আসতে ৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে। সকালে নাশতা করে বাসে উঠেছেন এরপরে আর খাওয়া হয়নি। এখন কখন বাড়িতে ফিরতে পারবেন এটা বলতে পারছেন না।
শুধু শিউলি কিংবা কামাল উদ্দিন না, ঈদে ঘরে ফেরা প্রত্যেকেরই একই অবস্থা। তীব্র যানজটের কারণে নাকাল সবাই। তবে এই কষ্টের পরেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দটাই অন্যরকম জানান ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম জানান, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঈদ করার জন্য একসঙ্গে বাড়ি ফেরার কারণেই সড়কে তীব্র যানজট। যানজট কমাতে ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।