ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বালি দ্বীপসহ আরও কয়েকটি এলাকায় প্রবল বন্যা ও ভূমিধসে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে স্থানীয় জনগণ যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি আতঙ্কে পড়েছেন সেখানে ভ্রমণরত পর্যটকরাও। সরকারি হিসেবে, মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২৩-এ পৌঁছেছে এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়। এতে বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে যায় এবং ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূলত অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি এলাকা থেকে নামা পানির ঢল এই দুর্যোগের জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, বালি দ্বীপে নতুন করে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এখনো দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন। এর আগে বালিতে ১৪ জনের এবং পার্শ্ববর্তী ফ্লোরেস দ্বীপে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে।
বিএনপিবি (জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা)-র প্রধান সুহারিয়ান্তো এক বিবৃতিতে জানান, দুর্গত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাবার, পোশাক, বিছানাসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে। তিনি অনুমান করেছেন, এই দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার।
ডেনপাসার শহর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তথ্যসূত্র :এএফপি