কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। মসজিদে কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ আর্থিক অনিয়মের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা ছিল। কিন্তু তাতেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তখন।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ইউএনও মো. এরশাদ মিয়া মোবাইল ফোনে মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন। কী কারণে আমাকে না করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে ধারণা করছি, আমি নাকি আওয়ামী লীগের লোক ছিলাম। এমন সন্দেহ থেকে আমাকে মসজিদে আসতে বারণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া সাসপেন্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শওকত উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত