এক সময় কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর ঘাটে ট্রলার থেকে চাঁদা তোলার কাজ করেছেন আবার কিছুদিন করেছেন বাসের কন্ডাক্টরি। পরে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হন শাহীন আহমেদ। সেই সাথে তিনি ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর পর থেকে গত ১৬ বছর এককভাবে তিনি কেরানীগঞ্জের রাজত্ব করেছেন। আওয়ামী লীগ টানা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাথে পাল্লা দিয়ে তার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। আর সেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, জমি দখল ও চাঁদাবাজির নেশায় মত্ত হয়ে উঠেন তিনি। এভাবে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। বালু ভরাট করে কমপক্ষে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে তার আর নিস্তার ছিল না। স্থানীয়রা জানান, শাহীন চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া কেরানীগঞ্জে জমি বেচাকেনা করা কঠিন ছিল। বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরীর সব ঘাট ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এভাবে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।

উত্থান যেভাবে : স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে যুক্ত বড় ভাই ফারুক আহমেদের তত্ত্বাবধানে একসময় কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর ঘাটে ট্রলার থেকে চাঁদা তোলার কাজটি করতেন শাহীন আহমেদ। কিছুদিন ঢাকা-মাওয়া রুটে বাসের কন্ডাক্টরিও করেন তিনি। ২০০১ সালে ঢাকা-মাওয়া সড়কের পাশে একটি আবাসন প্রকল্পে জলাভূমি ভরাটের কাজ পান। ওই সময় থেকে তিনি জমি দখল ও জোর করে অন্যের জমি লিখে নেয়ার কাজটি ভালোভাবে রপ্ত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শাহীন ওই সময় অনেককে কম দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করেন। পাশাপাশি যুক্ত হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। ২০০৯ সালে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন তিনি। সেই থেকে দিনে দিনে কেরানীগঞ্জে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন তিনি। বিরোধী শক্তিকে ঘায়েল করে নিজের ক্ষমতা পোক্ত করার জন্য গড়ে তোলেন নিজস্ব ক্যাডারবাহিনী। পতিত সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সাথে ছিল ঘনিষ্ঠতা। সেই সুযোগে চাঁদাবাজি, জমি দখল, বালু ভরাট, হাট ইজারা ও মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। দখল, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় প্রয়োজনে তিনি কাজে লাগান এলাকার ‘আব্বা বাহিনী’কে। স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্পদ বেড়েছে বহুগুণে : শাহীন আহমেদ নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় নিজেকে ‘স্বশিক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় তার কাছে টাকা ছিল সাড়ে ৩৫ লাখ। এ ছাড়া কিউট হোমসে ছিল ১০ লাখ টাকার শেয়ার, অকৃষিজমি ৮৯ শতাংশ এবং স্বর্ণালঙ্কার ২৯ ভরি। ট্রেডিং ব্যবসায় বিনিয়োগ ছিল ১৭ লাখ টাকা। স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। তবে ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের সময় দেয়া হলফনামায় তার বিপুল অর্থ-সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, ৯০ শতাংশের ৯টি প্লটের মালিক হয়েছেন তিনি। স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৩৬ শতাংশ জমি এবং আর স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে আরো ১৩০ শতাংশ জমি। তার হাতে ছিল ৩৭ লাখ ও স্ত্রীর ছিল ৪ লাখ টাকা। শুধু কাগজে কলমে ব্যাংকে স্ত্রীর নামে পাঁচ লাখ ও নিজের এক লাখ টাকা দেখানো হয়। নিজের বছরে আয় দেখান ৩৪ লাখ ও স্ত্রীর ৬১ লাখ টাকা। কাকরাইলে ১৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে তার ও ‘তাসফিয়া ডেইরি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তার স্ত্রী। ট্রেডিং ব্যবসায় নিজের বিনিয়োগ বেড়ে হয়েছে প্রায় তিন কোটি ও স্ত্রীর প্রায় সোয়া কোটি টাকা। স্থানীয়দের মতে, নামে মাত্র কাগজে কলমে লাখোপতি দেখালেও এর বাইরে শাহীন আহমেদের দেশ-বিদেশে অঢেল সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। তাদের জানা মতে, তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, ৯টি প্লট ও বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে তার প্রায় কয়েক হাজার শতাংশ জমি। তিনি কেরানীগঞ্জে বানিয়েছেন নিজের আলিসান বিলাসবহুল প্রাসাদ।

জমি দখল ও চাঁদাবাজি ছিল যার নেশা : স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখল ও চাঁদাবাজির নেশায় মত্ত থাকা শাহীন আহমেদ কোনো বাছ বিচার না করেই সরকারি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন যেটাই প্রয়োজন হয়েছে সেটাই গিলে খেয়েছেন। শিল্পাঞ্চলের জন্য ধলেশ্বরী নদীর সীমানা পিলার তুলে নদীর জমি ও নতুন সোনাকান্দা খাল ভরাট করে প্রায় ৪৭ একর খাস জমি দখল এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি কেটে খাল নির্মাণ করেন শাহীন। ওই এলাকার ফসলি জমি মালিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় ও দখল করে নেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে নিজের আবাসন কিউট হাউজিং নির্মাণ করেন। উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নুরু মিয়ার মার্কেট ২০২০ সালে দখল করার চেষ্টা করেন শাহীনের ক্যাডার বাহিনী।

পরে নুরু মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা ৩৩ কোটি টাকার বিনিময়ে সেটি রক্ষা করেন। কেরানীগঞ্জে শাহীনের ছত্রছায়ায় ৩০টিরও বেশি হাউজিং গড়ে উঠেছে। যেখানে প্রতি শতাংশ জমির জন্য শাহীনকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না দিয়ে কেউ হাউজিং প্রকল্পে জমি ক্রয় ও ভবন নির্মাণ করতে পারত না বলে এমনো অভিযোগ করেন অনেকেই। শাহীন বাহিনীর কেরানীগঞ্জে চারটি ড্রেজার রয়েছে। জমি ভরাটের জন্য তার ড্রেজারের মাধ্যমে উচ্চমূল্যে বালু ফেলতে বাধ্য এবং অন্য ড্রেজার মালিকদের কাছ থেকে প্রতি ফিট বালু ফেলার জন্য পঞ্চাশ পয়সা থেকে ১ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিত তার বাহিনী। সূত্রে আরো জানা গেছে, শিল্পাঞ্চলটি প্রায় ১৫৫ একর জমি নিয়ে নির্মাণ হওয়ার কথা থাকলেও শিল্পাঞ্চলের নামে জমি দখলে নেয় শাহীন আহমেদের প্রধান সহযোগী ইয়ারা গার্মেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং কেরানীগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সেলিম। শিল্পাঞ্চলটি সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু পার্টনার হিসেবে ছিলেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সে সময় কেরানীগঞ্জ মডেলের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল খাস জমি উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। উপজেলার কদমতলী এলাকায় শাহীন আহমেদ ও তার ভাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শিপু আহমেদের মালিকানাধীন কিউট সিট কাটিং ফ্যাক্টরি, কিউট কার হাউজের জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন ৪৭ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে কারখানা স্থাপন করা হয়। ওই জমি এখনো রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি। এ ছাড়া সেখানে ১৫ শতাংশ খাস জমি এবং আব্দুল রাজ্জাক নামে এক নিখোঁজ ব্যক্তির জমি ভুয়া মালিক বানিয়ে দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তেঘরিয়া ইউনিয়নে কৃষিজমি দখল করে কিউট হাউজিংয়ের নামে আবাসন প্রকল্প করেন তিনি। দক্ষিণ চুনকুটিয়ায় হিন্দুদের জমি দখলেরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এই কাজে শাহীন তার নিজস্ব বাহিনী ব্যবহার করেন। কেরানীগঞ্জে তার ছত্রছায়ায় ৩০টিরও বেশি হাউজিং গড়ে উঠেছে। যার প্রতি শতাংশ জমির জন্য ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হতো। ঢাকার কেরানীগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আহমেদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, আনোয়ার হোসেনের সোনার বাংলা আবাসন প্রকল্পে শতাধিক মানুষের প্রায় দুই হাজার একর জমি, বসতবাড়ী দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জায়গা-জমি দখল হয়ে যাওয়ায় অনেকে গ্রাম ছাড়া হয়েছেন। কারো বাড়ির চার পাশে দেয়াল দিয়ে ঢেকে রাখায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না বাসিন্দারা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলা প্রশাসন মাঠে মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

কেরানীগঞ্জ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ক এ কে এম কাউসার আহমেদ জানান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ তার ভগ্নিপতি মনিরুজ্জামানের শাক্তা মৌজায় ১৯ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছেন। জমির বাজারমূল্য সাড়ে চার কোটি টাকা। কৃষক সুরুজ মিয়া জানান, সোনাকান্দার মৌজায় শাহীন চেয়ারম্যান তার নিজের ১৪ পাখি জমি এবং তাদের এলাকার লিয়াকত আলির ১৩ পাখি, আশরাফ আলীর ৩ পাখি, নুর আলীর ৩ পাখি, আহসানুল্লাহর ৭ পাখি জমিসহ প্রায় এক হাজার একর তিন ফসলি কৃষিজমি জবরদখল করে মাটি ভরাট করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বানিয়েছে। ভুক্তভোগী মো: আনিসের ৪ শতাংশ জমির ওপর বসতবাড়ি রয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন তার বাড়ির চার পাশে দেয়াল তুলেছে যাতে আমরা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হই। আরেক ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন জানান, মুসলিমবাগ ব্রাহ্মণ কিত্তা মৌজায় তাদের ১৪৮ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে শাহিনের সহযোগী ও ছাত্রলীগের সভাপতি সালিম উল্লাহ শিমুল। শাক্তা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলামিনের নেতৃত্বে সাড়ে ২৭ শতাংশ জমি দখল করা হয়েছে। ২০২১ সালে নির্দিষ্ট কিছু মৌজার কিছু দাগের জমির রেজিস্ট্রিও বন্ধ ছিল। একাধিক দলিল লেখক জানান, তালিকায় থাকা মৌজা ও দাগের জমি কেনাবেচা করতে হলে শাহীনের অনুমতি লাগত। সে ক্ষেত্রে দলিল খরচ লাগত বেশি।

শাহীন আহমেদের সিন্ডিকেটে যারা ছিলেন : এসএসসি পাস হলেও তুখোড় বুদ্ধিদীপ্ত ছিলেন শাহীন আহমেদ। ভূমি দখল ও চাঁদাবাজিতে ছিলেন একেবারে পাকা। ফলে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন তার ভাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শিপু আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা জসিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান, ঢাকা জেলা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো: রাসেল মেম্বার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিরাজুর রহমান সুমন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমাম হাসান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মাসুদ পাপ্পু, সরকারি ইস্পাহানী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজালাল অপুসহ আরো ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, শাহীন আহমেদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন তখন তিনি ও তার গুন্ডাবাহিনীর নির্যাতন ও মামলা-হামলার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গাঢাকা দিয়েছেন শাহীন আহমেদ, জসিম মাহমুদ ও সুমনসহ তার ক্যাডারবাহিনী। তারা বলেন, কেরানীগঞ্জের কোন্ডা থেকে হযরতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, হাটবাজার ইজারা, বালু ভরাট, চাঁদাবাজিসহ উন্নয়ন খাতের কোটি কোটি টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন শাহীন চেয়ারম্যান। আর কেউ তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই অকথ্য নির্যাতন চালাতো তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে। গত ১৬ বছরে বৈধ-অবৈধভাবে শাহীন আহমেদ কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা।

এ দিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের নজিরবিহীন পতনের পর থেকেই শাহীন আহমেদ আত্মগোপনে রয়েছেন। তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। যার ফলে এসব অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews