তবে এই বয়ানের একটি উল্টো দিকও আছে। ভারতের সমদূরত্ব বজায় রাখা পররাষ্ট্রনীতি অনেক সময় দূরত্বপূর্ণ বা উদাসীন হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন ট্রাম্প ভারতকে শাস্তি দিতে বাণিজ্য বৈষম্য এবং রুশ অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
এদিকে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও বড় বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বজায় রাখে বা রুশ অপরিশোধিত তেলের ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে নির্ভরশীল, সেসব দেশকে একই মাত্রায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় গুরুত্ব (যেমন চীন) অথবা যুক্তরাষ্ট্রের জোটভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে অবস্থানের (যেমন জাপান, তুরস্ক) কারণে সেটা করা হয়নি।
ভিন্নতর আচরণটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ভারতের কৌশলগত অপরিহার্যতার অভাবই প্রতিফলিত হয়। ভারতের জন্য একটি মূল শিক্ষা হলো—নিষ্ক্রিয় নয় বরং আরও সক্রিয় কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন গড়ে তোলা।