একপর্যায়ে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসছিল এবং ধোঁয়া এতই ঘন ছিল যে হাতে থাকা ফোনটিও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছিল না। তখন জাইমা ইসলাম ফেসবুকে একটি বার্তা পোস্ট করেন, যেটিকে তিনি তাঁর শেষ বার্তা ভেবেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না। অনেক বেশি ধোঁয়া। আমি ভেতরে আটকা পড়েছি। তোমরা আমাকে মেরে ফেলছ।’
এই সহিংসতা অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে হিমশিম খাওয়ার উদাহরণ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা উত্তেজনা এই সরকার কীভাবে মোকাবিলা করবে, এ ঘটনা তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা হয়েছে অনেক সতর্কবার্তা পাওয়ার পর; ততক্ষণে প্রথম আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। উভয় সংবাদপত্রের সাংবাদিকেরা সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ফোনে সাহায্য চেয়েছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন মই ব্যবহার করে কয়েকজন কর্মীকে নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেন, তখন তাঁদের ওপরও হামলাকারীরা চড়াও হয়। শেষ পর্যন্ত রাত প্রায় চারটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে লেখেন—তিনি বহুবার ‘সঠিক ব্যক্তিদের’ ফোন করেছিলেন, কিন্তু কাজ হয়নি। পরে তিনি লেখেন, ‘মনে হচ্ছে, লজ্জায় আমি যদি গর্ত করে নিজেকে মাটিচাপা দিতে পারতাম।’