জীবনে বারবার প্রেমে পড়ার কথা শুনতে খুবই রোমাঞ্চকর অনুভূতি হতে পারে। কিন্তু এটি সম্পর্কের জন্য একটি সতর্কীকরণ হতে পারে। যদি প্রথম সাক্ষাতেই মানুষের হৃদয় ভালোবাসায় ফেটে পড়ে, তাহলে কিন্তু এটি একটি রেড সিগন্যাল। এমন ব্যক্তির থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন ।
অনেকেরই প্রথম দেখায় প্রেম হয়। সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মনে হয়, ‘আমি তো এ মানুষটার অপেক্ষাতেই ছিলাম! জীবনে এক-দুইবার এমন অনুভূতি হতে পারে অনেকেরই। এতে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু বারবার এমন ভালো লাগার অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হওয়াটা কি আদতে ভালো কোনো ব্যাপার?
- Advertisement -
প্রেম নিঃসন্দেহে অমূল্য এক সুখানুভূতি।
কিন্তু এই অনুভূতি যেমন শুধু এক পক্ষের থাকলেই চলে না, তেমনি এর মাঝে থাকতে হয় বিশ্বাস, ভরসা আর প্রতিশ্রুতি। বারবার প্রেমে পড়লে কেবল সুখটুকুই থাকে, বাকি বিষয়গুলো অল্প কয়েক দিনেই হারিয়ে যায় কিংবা আদতে এগুলোর সৃষ্টিই হয় না। তাই এক্ষেত্রে সুখটাও নিতান্তই সাময়িক এক ব্যাপার।
ইমোফিলিয়া কী
ইমোফিলিয়া হলো প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ার প্রবণতা।
এতে মানুষ তাড়াহুড়ো করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যাদের এই প্রবণতা বেশি থাকে, তাদের নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের মানুষদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তারা রেড সিগন্যালগুলোকেও উপেক্ষা করে থাকেন। যার কারণে তারা পরে ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্য অনুতপ্ত হন।
ইমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই চিন্তাভাবনার কারণে তারা তাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটি নষ্ট করে ফেলেন।
আর তা হলো সময়। শুধু তাই নয়, দ্রুত প্রেমে পড়ার এই অভ্যাসের কারণে তাদের সঙ্গীকে খুশি করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকেন। এই কাজটি সেই ব্যক্তির জন্য করেন, যার সঙ্গে তারা দেখা করেছেন। যদি সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী না হয়, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থের ক্ষতিও সহ্য করতে হয়।
কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন
যদি আপনারও ইমোফিলিয়ার লক্ষণ থাকে, তাহলে প্রথমে আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। আপনার সঙ্গীর মধ্যে আপনি কী চান, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। যেমন তার ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধি। এর সঙ্গে, বিশ্বাস, সম্মান ও স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলোতে মোটেও আপস করা উচিত নয়। সেই তালিকাও তৈরি করুন, যা আপনার সঙ্গীর মধ্যে চান না।
প্রিয়জনের কথা উপেক্ষা করবেন না
যাদের ইমোফিলিয়ার প্রবণতা রয়েছে, তারা সেই সময়ে কেবল একজন ব্যক্তির ওপর মনোযোগ দেন এবং অন্যদের কথা শোনেন না। এমনকি আপনি যদি চিন্তা করার এবং বোঝার মতো অবস্থায় নাও থাকেন, তবুও আপনার বন্ধু বা পরিবারের কাছের কেউ বিপদটি আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সতর্কবাণী উপেক্ষা করবেন না। এর ফলে পরবর্তীতে আপনাকে অনুশোচনা করতে হতে পারে।
আপনার এই অভ্যাসের কারণে যদি আপনি আগেও ভুল সম্পর্কের মধ্যে পড়ে থাকেন, তাহলে আপনার আগের সম্পর্কের ব্যর্থতার কারণগুলো দেখতে পারেন। এমন নয় যে যদি সম্পর্কটি আগে কাজ না করে, তাহলে আপনি কখনো আরো ভালো জীবনসঙ্গী পাবেন না। আপনার পছন্দের বিষয়ে একটু ব্যবহারিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করুন। সম্পর্কের ধরনটি বুঝুন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যান ।
- Advertisement -