বাংলাদেশে নারীর অধিকার আদায়ের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন একটি যুদ্ধ। এই যুদ্ধ শুধু বাস্তব জগতেই নয়, ডিজিটাল জগতেও ছড়িয়ে পড়েছে—ফেইসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে। নারীর কণ্ঠস্বর ও মতামত উদযাপনের পরিবর্তে এখানে তারা নির্যাতন, গালিগালাজ ও হুমকির শিকার হন। কমেন্ট বক্সে এসব মন্তব্য সাইবার বুলিংয়ের রূপ নেয়।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সাইবার বুলিংকে এমন আচরণ হিসেবে চিহ্নিত করে, যেখানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করা হয়। এর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় সোশ্যাল মিডিয়া, টেক্সট মেসেজ, অনলাইন গেমিং বা মোবাইল ফোন। এতে মিথ্যা অপবাদ, বিব্রতকর ছবি-ভিডিও শেয়ার, কটূক্তি বা ভুয়া প্রোফাইলের মাধ্যমে আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়ানো হয়।
নারীবাদী কর্মসূচি ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ সমান অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে রাজপথে স্লোগান তুলেছে সম্প্রতি। নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা মূলত নারীর রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য সুসংগঠিত উদ্যোগ, যা পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর বিরুদ্ধে সোচ্চার। এই যাত্রা ডিজিটাল স্পেসকে নারীর জন্য রাজনৈতিক পরিসর হিসেবে দেখে।
অন্যদিকে, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ সাইবার বুলিং প্রতিরোধে নারীদের জন্য একটি ইউনিট গঠনের কথা বলেছেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে নারীদের ডিজিটাল স্পেস এখনো নিরাপদ তো নয়ই, বরং ‘ডিজিটাল পুরুষতন্ত্রে’র শিকার।
ফরাসি দার্শনিক হেনরি লেফেব্রের ‘স্পেস’ তত্ত্ব অনুসারে, কোনো স্থান কখনোই নিরপেক্ষ নয়। নারীরা যখন ডিজিটাল স্পেসে নিজেদের চিন্তা বা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন, তখন তারা পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করেন। ফলে, ডিজিটাল স্পেস একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়, যেখানে নারীদের প্রতি সহিংসতা সামাজিক অনুমোদন পায়।
উদাহরণস্বরূপ, ফেইসবুকে পিরিয়ড, যৌন শিক্ষা বা ধর্মীয় ট্যাবু নিয়ে কথা বললে নারীরা ‘ইসলামবিরোধী’ বলে অভিযোগে অশ্লীল গালিগালাজের শিকার হন। এক নারী শিক্ষিকা পিরিয়ড নিয়ে পোস্ট করায় তাকে ‘ইসলামবিরোধী’ বলে আক্রমণ করা হয় কয়েকদিন আগে। অথচ, কুরআনের সূরা বাকারা (২:২২২) এবং সহীহ মুসলিমের হাদিসে (৫৭৭, ৫৯১) পিরিয়ড নিয়ে খোলামেলা আলোচনা রয়েছে। তবু, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নারীদের বিরুদ্ধে সেন্সরশিপ তৈরি করা হচ্ছে।
ডিজিটাল স্পেসকে একটি রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। কারণ, একটি স্পেস তখনই রাজনৈতিক হয়ে ওঠে, যখন তা দখল করতে হয়, যখন তা দখল করার জন্য লড়াই করতে হয়। নারীদের ডিজিটাল স্পেসে কথা বলার অধিকার এখনো স্বতঃসিদ্ধ নয়। সেটি প্রতিনিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ, আক্রমণাত্মক এবং নিরাপত্তাহীন।
সাইবার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (২০২২) অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন নারী অনলাইন ব্যবহারকারীর মধ্যে ৭ জন সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন। অধিকাংশই অভিযোগ করতে ভয় পান, কারণ পরিবার নিরুৎসাহিত করে বা তারা নিজেরাই বিশ্বাস করেন অভিযোগ করে কিছুই হবে না। ইউএনডিপির এক জরিপে দেখা গেছে, ধর্ম, যৌনতা বা শরীর নিয়ে কথা বললে নারীদের ‘নোংরা’ বা ‘পশ্চিমা’ হিসেবে ট্যাগ দেওয়া হয়।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করলেও, একই সঙ্গে এটি একটি বিপজ্জনক স্থানে পরিণত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিপীড়নের শিকার নারীদের মাত্র ২০ শতাংশ আইনি সহায়তা নেন; বাকিরা নীরব থাকেন। এ চিত্র শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংকট নয়, বরং আমাদের আইনি কাঠামোর ব্যর্থতাকেও প্রকাশ করে। দেশের বিচার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রে সাইবার সহিংসতার মামলা ৮০–৯০ শতাংশ পর্যবেক্ষণহীন অবস্থায় খারিজ হয়ে যায়—এ এক বিপজ্জনক নিস্পৃহতা। আইসিটি আইন বা পেনাল কোড থাকলেও, ডিপফেইক বা ডিজিটাল স্টকিংয়ের মতো অপরাধ মোকাবেলায় এগুলো অপ্রতুল।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার, যাদের ৭৬ শতাংশ মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগে ভোগেন। অনেক নারী ভয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দেন বা পরিচয় গোপন করেন, যা তাদের মতপ্রকাশের অধিকার সীমিত করে।
অনেক নারী জানান, তারা নিজের মতামত বা কনটেন্ট প্রকাশ করতে ভয় পান, কারণ এর প্রতিক্রিয়ায় অনলাইন কটাক্ষ, অপমান, এমনকি ধর্ষণের হুমকিও পেতে হয়। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করেন বা পরিচয় গোপন রাখেন, যা নারীদের ডিজিটাল সেল্ফ এক্সপ্রেশন–এর মৌলিক অধিকারকে সীমিত করে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিকভাবে আইএলও-এর ২০১৯ সালের কনভেনশন অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা একটি স্বীকৃত অপরাধ হলেও বাংলাদেশে যৌন হয়রানির সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর সংজ্ঞা এখনও আইনগতভাবে অনুপস্থিত। দেশে বহু মানুষ ইমেইল আইডি ছাড়াই ফোন ব্যবহার করেন, কেউ কেউ অন্যের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে তা অপরাধে ব্যবহার করেন। অথচ ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এবং সাইবার কাউন্সেলিং সার্ভিস এই মুহূর্তে সময়ের দাবি।
এই প্রেক্ষাপটে একটি শক্তিশালী সামাজিক-প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজন—যেখানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো (যেমন ফেইসবুক, টিকটক) এর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সুনির্দিষ্ট হবে এবং নারীরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ডিজিটাল জগতে বিচরণ করতে পারবেন। কারণ, সাইবার সহিংসতা শুধু অনলাইন সন্ত্রাস নয়, এটি এক নীরব মানসিক যুদ্ধ, যার শিকার প্রতিদিন অসংখ্য নারী।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো যেমন ভারত, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনস—নারী, শিশু ও তরুণদের প্রতি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর আইন তৈরি করেছে। এসব দেশে ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং ভিকটিম-বান্ধব রিপোর্টিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
আমাদের দেশে, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে নারীর অধিকারকর্মী, ডিজিটাল রাইটস বিশেষজ্ঞ বা লিঙ্গবিষয়ক গবেষকদের পরামর্শ খুব কমই নেওয়া হয়। ফলে অনেক আইনই স্পষ্ট নয়, প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবিক সহিংসতা ঠেকানোর চেয়ে মত প্রকাশ দমন করার কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়।
আমরা প্রায়ই অনলাইন সহিংসতার ক্ষেত্রে সহনশীল বা নিষ্ক্রিয় মনোভাব গ্রহণ করি। কিন্তু ডিজিটাল স্পেসে সচেতনতা, নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের দরকার ‘ডিজিটাল হাইজিন’-এর দিকে বিনিয়োগ।
সেলিব্রিটি নারীরাও রেহাই পান না সাইবার বুলিং থেকে। যে কোনো পোশাক পরা, ক্যামেরায় তাকিয়ে কথা বলা, বা কনটেন্ট তৈরি করলেই কমেন্ট বক্স ভরে যায়—‘তুই রেপ হওয়ার যোগ্য’, ‘বাজে মেয়ে’, ‘ধর্ম জানিস না’ জাতীয় মন্তব্যে। এগুলোর কোনোটিই নিছক মন্তব্য নয় বরং সেগুলো নারীর কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে একটি নির্মিত সহিংসতা। সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে ভার্সিটি, স্কুল, কলেজ পড়ুয়া নারীরা সাইবার বুলিংয়ের কারণে সুইসাইড করেছে বা করতে উদ্যত হয়েছে এরকম ঘটনাও বিরল নয়।
ডিজিটাল স্পেস এখনো নারীর জন্য সমানাধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। বরং এখানে তৈরি হয়েছে এক নতুন ‘ডিজিটাল পুরুষতন্ত্র’—যা অনলাইনে নারী উপস্থিতিকে সহ্য করতে পারে না।
নারীদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস গড়তে হলে আইন, প্রযুক্তি ও সামাজিক সচেতনতায় পরিবর্তন আনতে হবে। পাঠ্যক্রমে সাইবার বুলিং বিষয়ক শিক্ষা যুক্ত করা, পরিবারের সচেতনতা বাড়ানো এবং নারীবান্ধব প্ল্যাটফর্ম তৈরি জরুরি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারপার্সন খন্দকার ফারজানা রহমান মনে করেন, পরিবারকে শিশুদের যৌন শিক্ষা ও নিরাপদ কনটেন্ট শেয়ারিংয়ে সচেতন করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নারীবান্ধব করা এবং সাইবার পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোও প্রয়োজন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নারীবান্ধব করা
২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ২৫, ২৯, ৩১, ৩৫ ধারা ইন্টারনেটে নির্যাতন, গুজব ছড়ানো ও ব্যক্তিগত আক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে, নারীদের বিরুদ্ধে সাইবার সহিংসতার অভিযোগে পুলিশ প্রায়ই এফআইআর গ্রহণ করে না বা বলে, “এসব অনলাইন বিষয়, গুরুত্ব নেই।” এই আইন প্রায়শই রাজনৈতিক মত দমনের জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষায় কার্যকর হয় না। ডিএসএ-তে জেন্ডার-সংবেদনশীল কোনো নির্দিষ্ট ধারা নেই, ফলে অনলাইন হুমকি, গালিগালাজ বা যৌন হয়রানি ‘সাধারণ’ অপরাধ হিসেবে ধামাচাপা পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো নারী পিরিয়ড নিয়ে পোস্ট করলে তাকে ‘ইসলামবিরোধী’ ট্যাগ দিয়ে গালিগালাজ করা হয়, কিন্তু অভিযোগ করলে পুলিশ বলে, “ও তো শুধু কমেন্ট করেছে।”
প্রস্তাবিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর এক মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার হামিদুল মেজবাহ বলেন, এই আইনের নাম ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ হওয়া উচিত। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গভীর বিশ্লেষণ ও সতর্কতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অধ্যাদেশের ৮ ও ২৫ ধারায় ব্যবহৃত শব্দের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দরকার এবং সাইবার পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ জরুরি।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড জোরদার করা
ফেইসবুক, টিকটকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডে ঘৃণাত্মক মন্তব্য, যৌন হয়রানি ও আপত্তিকর মন্তব্য নিষিদ্ধ বলা হলেও, বাংলা ভাষায় রিপোর্ট করলে তা পর্যালোচনা হয় না বা অ্যালগরিদম বুঝতে ব্যর্থ হয়। অনেক সময় রিপোর্ট ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ভায়োলেট করে না’ বলে বাতিল হয়। ফলে, নারীরা কমেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হন, যা সমাধান নয়, বরং তাদের চুপ করায়। উদাহরণস্বরূপ, টিকটকে একজন নারী নাচের ভিডিও দিলে “তুই রেপের যোগ্য” বা “কয় টাকায় শুবি” জাতীয় কমেন্ট আসে। রিপোর্ট করলেও কোনো ফল হয় না, বরং নারীকেই ভিডিও মুছে ফেলতে হয়।
নারীদের জন্য নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম তৈরি
নারীরা পিরিয়ড, যৌনতা বা বুলিং নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম চান। বাংলাদেশে এমন নারীবান্ধব অনলাইন স্পেস নেই। ফেমিনিস্ট পেজ বা গ্রুপগুলোতেও বট কমেন্ট, ট্রল ও নারীবিদ্বেষী মন্তব্য ঢুকে পড়ে। যেমন, ফেইসবুকে একটি নারীচিন্তামূলক পেজ বুলিংয়ের গল্প শেয়ার করলে তাকে ‘ধর্ম অবমাননা’ বা ‘পশ্চিমা সংস্কৃতি’ ট্যাগ দিয়ে আক্রমণ করা হয়।
আইন, নীতিমালা ও প্ল্যাটফর্ম থাকলেও নারীরা তাদের অধিকার বা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলে সুরক্ষা পান না। দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি ও সামাজিক সচেতনতা। জাতীয় পাঠ্যক্রমে সাইবার বুলিং বিষয়ক শিক্ষা যুক্ত করা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার, সম্মতি ও গোপনীয়তা শিখতে পারে। স্কুল-কলেজে সচেতনতা ক্যাম্পেইন ও ব্যানারের মাধ্যমে এই শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
ডিজিটাল স্পেসে নারীদের মতপ্রকাশ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’র মতো উদ্যোগ মনে করিয়ে দেয়, এই স্পেস নারীদেরও। এখন সময় এই লড়াইকে সমর্থন করার এবং আইন, প্রযুক্তি, সমাজ ও ধর্মীয় ব্যাখ্যায় নারীবান্ধব পরিবর্তন এনে ডিজিটাল জগৎকে নিরাপদ করার।