উইন্ডিজ সিরিজ মাথায় রেখেই ফরচুন বরিশালের হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলবেন বলে চুক্তি করেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। চুক্তি মোতাবেক পাঁচ ম্যাচ খেলেই বাংলাদেশ ছেড়ে যান পাকিস্তানি এ পেসার। কিন্তু দেশে ফেরার পর তিনি দেখেন উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের দলে রাখেনি পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড)। এই বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে তারকা এ পেসারের টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পাকিস্তানের সর্বশেষ ১২ টেস্টের ৮টিতেই ছিলেন না শাহিন। ২০২৪ সালের শুরু থেকে কম্বিনেশন, ফর্মের অজুহাতে বিশ্রাম বা বাদ দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দল থেকে ৩২ টেস্টে ১১৬ উইকেট নেওয়া এ পেসারকে বাদ দেওয়া হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অজুহাতে। পাকিস্তানের নির্বাচকরা তখন বলেছিলেন, ঘরের মাঠে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকে তরতাজা চান বলেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
অথচ সেখানে ওয়ানডে ও টি২০তে তিনি ভালো খেলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস-সহায়ক কন্ডিশনে টেস্টেও তিনি ভালো করতেন বলেই পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারের বিশ্বাস। সেখানে টেস্ট খেলতে না দিলেও শাহিনকে বাংলাদেশে বিপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে পিসিবি। এ সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা হচ্ছে।
উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫ জনের দলে শাহিন জায়গা না পাওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। কারণ কিছু দিন আগেই ২৪ বছর বয়সী এ পেসার এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি মূলত উইন্ডিজ সিরিজের প্রতিই ইঙ্গিত করেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির জন্যই তিনি এ সিরিজটা খেলতে চেয়েছিলেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিসিবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে পাকিস্তান ছিটকে গেছে বলে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর খেলা হবে মুলতানের স্পিন-সহায়ক পিচে। তাই নির্বাচকরা শাহিন ও নাসিমকে এ সিরিজে রাখেননি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য এ দুই পেসারকে তরতাজা চাইছেন তারা। এত বিশ্রাম দিয়ে শাহিনকে আসলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটার বানিয়ে ফেলছেন পাকিস্তানের নির্বাচকরা।