ভারতের আসাম অঙ্গরাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসে অন্তত ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে দেড় হাজারে মতো গ্রাম। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

রাজ্যের ২১টি জেলা জুড়ে প্রায় ছয় দশমিক ৭৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আসাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যাজনিত কারণে নাগাঁও জেলায় এক শিশু এবং কাছাড় জেলায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

গত শুক্রবার থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে মোট ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। বুধবার (৪ জুন) সকালে কেন্দ্রীয় জল কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি নিমতিঘাট, তেজপুর এবং ধুবড়ি এলাকায় বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

বরাক উপত্যকার ফুলেরতল, বিপি ঘাট ও এপি ঘাটে বরাক নদী এবং সোনাই, রুকনি, ঢলেশ্বরী, কাটাখাল ও কুশিয়ারা নদী বুধবার সকালেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছিল।

বরাক উপত্যকায় শ্রীভূমি জেলায় ২ দশমিক ৫৯ লাখ মানুষ, হাইলাকান্দি জেলায় ১ দশমিক ৭২ লাখ, এবং নাগাঁও জেলায় ১ লাখ ২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রায় সপ্তাহখানেকের বর্ষণে ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে আছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় চালু রয়েছে ৪০৫টি ত্রাণ শিবির, যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৪১ হাজারের বেশি মানুষ।

আবহাওয়া অধিদফতরের আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবারের জন্য একাধিক জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, ধেমাজি, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, দক্ষিণ সালমারা-মানকাচর, কর্বি আংলং, পশ্চিম কর্বি আংলং, দিমা হাসাও, কাছাড় ও হাইলাকান্দি।

এছাড়া মেঘালয়, ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুণাচল ও মিজোরামের একাধিক জেলায়ও একই সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।

চলমান দুর্যোগের ভোগান্তি থেকে আশু মুক্তির সম্ভাবনা নেই বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আবহাওয়াবিদরা।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews