রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) প্রথম আইপিএল জয়ের পর ঘটে গেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তাদের বিজয় সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আহত হয়েছেন অনেক। এই ঘটনায় বেঙ্গালুরুর ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে এফআইআর দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ আরসিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারও করেছে। গ্রেফতার হওয়ার ব্যক্তির নাম নিখিল সোসালে।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটক রাজ্য সরকার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে সিমান্থ কুমার সিংকে নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ এফআইআরটি করেছে। সেখানে পুলিশ দাবি করেছে যে তারা বেঙ্গালুরুকে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান পরিচালনার অনুমতিই দেয়নি। যার চারপাশে এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে আরসিবিকে প্রথম অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইভেন্ট পার্টনার ডিএনএ ইন্টারটেইনমেন্ট ও কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)।
প্রতিবেদনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ছয়টি ধারার উল্লেখ করা হয়েছে। এফআইআরে, বেঙ্গালুরু পুলিশ বলেছে তাদের কর্মীরা ৪ জুন আরসিবির জয়ের পর স্টেডিয়ামের চারপাশের এলাকায় ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন এবং পরবর্তী বিকালে আরেকটি বড় জনসমাগম পরিচালনা করা কঠিন হওয়ায়, স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেয়নি। তার পরেও কেএসসিএ, আরসিবি এবং ডিএনএ পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে তাদের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে গেছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার কর্ণাটক রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে পদপিষ্টের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার পর, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের একটি তদন্তের নির্দেশ দেন এবং বলেন যে, ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
রাজ্য সরকার এবং আরসিবি উভয়ই নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি আহতদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় বহনের আশ্বাসও দিয়েছে।