মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১৩ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ইসরাইল ও যুক্তরাজ্য সফর করবেন। কাতারে ইসরাইলি হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। রুবিওর সফরকে মার্কিন কূটনীতিতে নিরাপত্তা ও যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত অগ্রাধিকার প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফর এ সফরের ঘোষণা দিয়েছে। সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসরাইল-হামাস সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরা। বিশেষভাবে রুবিও ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন এবং হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য যৌথ লক্ষ্যগুলোর ওপর গুরুত্ব দেবেন। এছাড়া তিনি সব জিম্মিকে ঘরে ফেরানোর বিষয়েও কাজ করবেন।
তেল আবিবে অবস্থানকালে রুবিও ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। সফরের দ্বিতীয় অংশে লন্ডনে তার বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপারের সঙ্গে। এখানে তারা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা।
রুবিওর এই সফরের ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাতারে ইসরাইলি হামলা নিয়ে মন্তব্যের পর এসেছে। গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলাকালীন হামাসের একটি অফিস ভবনকে লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমান হামলা চালায়। এতে ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এই হামলার পর গাজার উত্তেজনা বেড়ে গেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফা হামলা বলে উল্লেখ করেছে। তথ্যসূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস