আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দিনের প্রথম যে কাজটি করতে হয় তা হলো, দাঁত ব্রাশ। এ জন্য যে পেস্ট ও টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হয়, তাতেও ভ্যাট আছে। টুথপেস্ট ও ব্রাশের উৎপাদন বা আমদানি থেকে ভোক্তাপর্যায় পর্যন্ত যত ভ্যাট আছে, তা আসলে ভোক্তাকেই পরিশোধ করতে হয়। এরপর গোসল থেকে শুরু করে টয়লেটের অন্যান্য কাজ শেষ করতে প্রতিদিনের ব্যবহার্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সাবান, টিস্যু, শ্যাম্পু ইত্যাদি। সেখানেও ভ্যাট আছে। নতুন করে সব ধরনের টিস্যু পেপারের ওপর ভ্যাটের হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে টিস্যু ব্যবহারে আগের চেয়ে খরচ বাড়বে।
টয়লেটের কাজ সেরে আপনি হয়তো বসবেন নাশতার টেবিলে। নাশতায় পাউরুটি, জেম-জেলি কিংবা বিস্কুট যদি থাকে আপনার নাশতার তালিকায়, তাহলে সেখানেও গুনতে হবে ভ্যাট। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর যেসব পণ্যে নতুন করে ভ্যাট বাড়িয়েছে, তাতে বেকারি ও কনফেকশনারি পণ্যও রয়েছে। বেকারির মালিকেরা বলছেন, ভ্যাটের হার বৃদ্ধির ফলে বেকারি পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে। ফলে নাশতার খরচও বেড়ে যাবে আপনার।
নাশতা সেরে এবার অফিসের দিকে রওনা হলেন। এই যাত্রাপথে কিছুটা স্বস্তি পাবেন। কারণ, বাস, ট্যাক্সি, সিএনজি ভাড়া—কোনো কিছুর ওপর ভ্যাট নেই। তবে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর চেষ্টা ছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। সম্প্রতি মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর এক বছরের জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।