‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান। ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’ প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন অবসানে, দেশে ফিরে প্রত্যয়ী কণ্ঠে বললেন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিসংলগ্ন জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনায় লাখ লাখ মানুষের মহাসমাবেশে দেওয়া ভাষণে দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে স্বপ্ন-পরিকল্পনার কথা তিনি এভাবেই প্রকাশ করেন। শুরু করেন ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ সম্বোধনে। দীর্ঘদিন পর যে জন্মভূমির মাটির স্পর্শ নিতে তিনি জুতা-মোজা খুলে দাঁড়ান সবুজ ঘাসের ওপর; মুঠো ভরে মাটি নিয়ে ঘ্রাণ নেন যে প্রিয় মাতৃভূমির- তাঁকে ঘিরে কী তার সেই পরিকল্পনা? মোটা দাগে- দেশের সব মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বিভিন্ন আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া, যে কোনো উসকানির মুখে ধীর-শান্ত-সংযত থাকা। সুযোগ পেলে মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতায় দেশ পরিচালনার চেষ্টা করবেন। আর বললেন, আগামী দিনে তরুণরাই নেতৃত্ব দেবে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান তারেক রহমানকে সুস্বাগতম জানিয়েছেন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা সুসংহত হবে। স্বাগত জানালেন বিভিন্ন দলের নেতারা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করল বিএনপি-কান্ডারির এই বহুপ্রতীক্ষিত বর্ণাঢ্য প্রত্যাবর্তন। তারেক রহমানের আগমনে দেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গণসংবর্ধনায় উপস্থিত অগণিত মানুষকে সাক্ষী রেখে তারেক রহমান বিশেষ জোর দিয়ে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন। দেশ ও মানুষের জন্য তাঁর পরিকল্পনার বিশদ ব্যাখ্যা না করলেও সহজেই অনুমেয় যে, তা হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতীয় মর্যাদা সমুন্নত রেখে, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সামাজিক সাম্য, ধর্মীয় সম্প্রীতির নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাঁর বিবেচনায় ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। সেই বাংলাদেশ হবে সুদৃঢ় গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর ভর করে, বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো, অর্থনৈতিক মুক্তি ও স্বনির্ভরতার মর্যাদাসম্পন্ন নতুন বাংলাদেশ। তাঁর জন্য সবার সহযোগিতা চাইলেন। আরও যা তাঁর পরিকল্পনায় আছে, জাতি তা প্রত্যক্ষ করবে পর্যায়ক্রমে। তাঁর পরিকল্পনা নিষ্কণ্টক পথযাত্রায় সাফল্যজনকভাবে বাস্তবায়িত হোক- এ প্রত্যাশা জাতির। যে প্রচেষ্টা করে গেছেন তাঁর পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং মা, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে নির্বাসন অনেক সময় নতুন উত্থানের প্রস্তুতি মঞ্চ হয়ে উঠেছে। নির্বাসিত জীবনের ইতি টেনে, স্বদেশে বাজিমাত করেছেন অনেকেই। সে তালিকা দীর্ঘ। তেমনই হওয়ার সম্ভাবনা তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও। দেশবিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হতে পারে সেই বহুল উচ্চারিত লাতিন প্রবচনের মতো। ‘ভিনি ভিডি ভিসি’। সোজা বাংলায় যার ভাবানুবাদ ‘তিনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন’।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews