পুরুষদের টাক পড়ার সমস্যা (অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়া নামেও পরিচিত) থেকে মুক্তির নতুন দিগন্ত খুলে যাওয়ার খবর বিজ্ঞানীরা। পাঁচ বছর আগে ব্রণের চিকিৎসায় অনুমোদন পাওয়া ওষুধ ক্ল্যাসকোটারোন এবার পুরুষদের টাকের চিকিৎসায় অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছে।
আয়ারল্যান্ডের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কসমো ফার্মাসিউটিক্যালস সম্প্রতি এই ওষুধের দুটি ফেজ থ্রি ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায় চুল গজানোর ক্ষেত্রে প্রায় ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নতি দেখিয়েছি ওষুধটি।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, সাধারণত পুরুষদের ত্রিশের কোঠায় এই সমস্যা দেখা যায়। এসময় চুলের ফলিকলগুলো সংকুচিত হতে থাকে এবং চুল পড়লে আর গজায় না। এ সমস্যা সমাধানের এতোদিন বাজারে মিনোক্সিডিল বা ফিনাস্টেরাইডের মতো যে ওষুধগুলি পাওয়া যেত, তা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। কিন্তু ক্ল্যাসকোটারোন সেই চিত্র পাল্টে দিতে পারে।
কসমো ফার্মাসিউটিক্যালসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫০০ জন পুরুষের ওপর চালানো দুটি পরীক্ষার মধ্যে একটিতে ক্ল্যাসকোটারোন ব্যবহারকারী গ্রুপটি প্লেসিবো গ্রুপের তুলনায় ৫৩৯ শতাংশ পর্যন্ত উন্নতি দেখিয়েছে। অন্য ট্রায়ালটিতে এই উন্নতির হার ছিল ১৬৮ শতাংশ।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই ওষুধটি অত্যন্ত নিরাপদ এবং সহনীয়। কসমোর সিইও জিওভানি ডি নেপোলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দুটি বৃহত্তম ফেজ থ্রি ট্রায়ালে শক্তিশালী কার্যকারিতা এবং অনুকূল নিরাপত্তা প্রোফাইলের সঙ্গে ক্ল্যাসকোটারোন ৫ শতাংশ টপিক্যাল সলিউশন রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এবং উন্নত চিকিৎসার দ্বার খুলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যাসসিওপিয়া ২০২০ সালে ব্রণের চিকিৎসায় এই একই ওষুধ ব্যবহারের জন্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছিল। যদি পুরুষদের টাক পড়ার চিকিৎসায় ক্ল্যাসকোটারোন চূড়ান্ত অনুমোদন পায়, তবে এটি গত ৩০ বছরে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়ার চিকিৎসায় আসা প্রথম নতুন ওষুধ হবে। আগামী বছরই এই বিষয়ে এফডিএ'র অনুমোদন পাওয়ার আশা করছে কসমো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার অগণিত পুরুষের টাকজনিত হতাশা দূর করতে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল